কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১০ থেকে ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2023, 05:55 AM
Updated : 14 May 2023, 05:55 AM

কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করছে জেলা প্রশাসন। এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

রোববার সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বঙ্গোপসাগরের বক্ষের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফের শেষাংশের দিকে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। সাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। 

সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ দাশ সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ এসেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে।

“কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। এখনও যারা বাইরে আছে তাদেরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দুপুরের পর থেকে ঝড়টি উপকূলের স্থলভাগ অতিক্রম করা শুরু করবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১০ থেকে ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে জানিয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান বলেন, এর মধ্যে সিপিপির প্রায় আট হাজার ৬০০ এবং রেড ক্রিসেন্টের দুই হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।

“এর বাইরে প্রতিটি শেল্টার সেন্টারে আলাদা করে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের আলাদা করে কমিটি রয়েছে; তারা কাজ করছেন।

সেন্ট মার্টিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিভীষণ দাশ বলেন, সেখান থেকে আসা সবশেষ খবর অনুযায়ী, আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন নিরাপদে আছে। সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাসের বেগ বেড়েছে। খারাপ কোনো সংবাদ আমরা সেখান থেকে এখনও পাইনি।

কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান রোববার সকাল ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং টেকনাফের উপকূলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সেন্ট মার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।

“রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেন্ট মার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর টেকনাফসহ কক্সবাজারে একই সময়ে সাত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের স্থলভাগ অতিক্রম করবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।    

রোববার সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও টেকনাফে যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছিল সোমবার সকালেও তা অব্যাহত আছে। তবে কখনও কখনও মাঝারি আকারেও বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের বেগ বেড়েছে।

ফলে জেলা শহরের রাস্তাঘাটে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল কমে গেছে। দোকানপাট দেরিতে খুলছে, অফিস-আদালতেও উপস্থিতি কম দেখা গেছে।