আদালতের নির্দেশে ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলর ওপর ৫ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগকে হস্তান্তর করেছে ইজারাদার।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, বুধবার ইজারাদার সওজকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে সওজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় শুরু করেছেন।
তবে ইজারাদারের কাছে সওজয়ের এখনও ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা থাকায় তা আদায়ে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী নাবিল।
শেখ নাবিল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৮ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্স তিন বছরের জন্য গাবখান সেতুর [৫ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু] টোল আদায়ের ইজারা পায়। সে অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩০ জুন এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়।
তিনি জানান, তবে মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠির ১ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত ইজারাদারকে আগের ইজারা দর অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে টোল আদায়ের নির্দেশ দেয়।
“এরপর সওজ এই আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে। প্রায় এক বছর আইনি লড়াই শেষে আদালত গত ৬ জুলাই আগের মামলার আদেশ খারিজ করে দেয়।”
বুধবার [২৭ জুলাই] ইজারাদার সড়ক বিভাগকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে; এরপর থেকে সওজ টোলের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে টোল আদায় শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, মামলার পর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার বকেয়া হওয়ার ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, সবেমাত্র মামলাটি খারিজ হয়েছে। এবার বকেয়ার আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট মামলা করার সুযোগ হয়েছে।
“আমারা খুব শীঘ্রই এ ব্যাপরে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
নাবিল হাসান আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার দুপুর থেকে গাবখান সেতুর টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যতদিন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে টোল আদায়ের জন্য দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ না আসবে ততদিন পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগই টোল আদায় করবে।