চালকল মালিকরা চালের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বলছেন, তাদের ‘বেশি দামে’ ধান কিনতে হচ্ছে।
Published : 19 Jan 2024, 04:03 PM
দিনাজপুরেরবিরল উপজেলার একটি ধানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ছয় মাস আগে মজুদ করা ৫ হাজার বস্তা ধান জব্দ করেছে খাদ্য বিভাগ।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মোসাব্বির হোসেনের গোডাউন থেকে বৃস্পতিবার বিকালে ধানগুলো জব্দ করেন তারা।
এ ঘটনায় রাতেই গোডাউনের স্বত্বাধিকারী মোসাব্বিরের বিরুদ্ধে কামাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন বলে বিরল থানার ওসি গোলাম মওলা জানিয়েছেন।
কামাল বলেন, “মোসাব্বির নামের ওই পাইকারী ব্যবসায়ীর লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তিনি অতিরিক্ত ধান মজুদ করেছেন। ছয় মাস আগে গত বোরো মৌসুমের আঠাশ জাতের ধান পাইকপাড়ার গোডাউনে মজুদ করেন তিনি। অথচ এক মাসের বেশি কোনো গোডাউনে ধান মজুদ করা যাবে না।”
তার গোডাউনে পাঁচ হাজার বস্তা ধান পাওয়া গেছে। গোপনে মজুদ করা এসব ধান তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করছিলেন বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা।
বাজারে ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে মজুদ বিরোধী অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
তবে খাদ্য বিভাগের অভিযান শুরুর পরও চালের বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে শহরের চকবাজারের চাল ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে আগের বর্ধিত দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। মিল গেটেই চালের দাম বেশি। মিলাররাই চালের দাম বাড়িয়েছে।
“ভোটের পরদিন ৮ জানুয়ারি থেকেই দিনাজপুরে হঠাৎ চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। বস্তা প্রতি চালের দাম প্রকারভেদে দুইশ থেকে চারশ টাকা বেড়ে যায়। মোটার চেয়ে চিকন চালের দাম বেশি বাড়ে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চিকন চাল ৭ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা চাল ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ে।”
এদিকে চালকল মালিকরা চালের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বলছেন, তাদের ‘বেশি দামে’ ধান কিনতে হচ্ছে।
জেলার চালকল মালিক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহনের ভাষ্য, “ধানের বাজার এক শ্রেণির অবৈধ মজুদদার নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। তাদের কাছে মিলাররাও জিম্মি।”
এই চালকল মালিকের অভিযোগ, “লাইসেন্স ছাড়াই কিছু মানুষ অবৈধভাবে ধান মজুদ রেখে ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে; যার প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে। বেশি দামে ধান কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।”