একই মহল্লার এক শিশুকে ‘পরিকল্পনা করে’ হত্যার কথা জানিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এক যুবক।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জবানবন্দি দেন এই যুবক।
শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটি মহল্লা থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুটির বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. সাব্বির (২০) নামের এই যুবক জেলা শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটির প্রয়াত মফিজ মিয়ার ছেলে। তিনি শহরের বিভিন্ন বাজারে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, সাব্বির ও ৪ বছর বয়সী ওই শিশু একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ওই শিশুকে প্রায় সময় ‘আব্বা’ বলে ডাকতেন; কিন্তু শিশুটি সাব্বিরকে ‘পাগল’ বলত।
“প্রায় এক মাস আগে শিশুটি ঢিল মারলে মাথায় আঘাত পান সাব্বির। এরপরই শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাব্বির।”
সাব্বিরের বরাতে পরিদর্শক সোহরাব বলেন, শুক্রবার রাতে সবার অগোচরে ফুসলিয়ে শিশুটিকে সাব্বির তার বাড়ি নিয়ে যান। সাব্বির তার বড় ভাইয়ের কক্ষে নিয়ে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করেন।
“এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে ড্রেনে পড়ে থাকা একটি বস্তায় ঢুকিয়ে লাশ পাশের বাড়ির টিউবওয়েলের কাছে ফেলে দিয়ে আসেন।”
পরিদর্শক সোহরাব আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সাব্বিরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে সাব্বিরসহ নয় জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।