রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ছিনতাইকারীকে ধরে মারধর দিয়েছে শিক্ষর্থীরা। পরে তাদের মতিহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার রাত ৯টার দিকে মাদার বখশ হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রায়হানুল ফিরদাউস আটক দুজনের নামে মামলা করেছেন।
মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, “রাতে প্রক্টর দপ্তর ওই দুই ছিনতাইকারীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় আসামিদের আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।”
আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগরের তেরোখাদিয়া এলাকার শাকিলউদ্দীন আহমেদের ছেলে শাহীন আহমেদ ধ্রুব (২০) ও নগরের কাশিয়াডাঙ্গা কোর্ট স্টেশন এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল (২০)।
ঘটনার বর্ণনায় ভুক্তভোগী রায়হানুল ফিরদাউস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। এ সময় হঠাৎ বাইকে করে ছিনতাইকারীরা এসে আমার ফোনটা ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমি চোর চোর বলে চিৎকার করলে আমার সামনে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে।
“পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে গিয়ে ছিনতাইকারীরা শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করে মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।”
প্রক্টর আসাবুল হক বলেন ,“ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হাতে ছিনতাইকারী ধরা পড়েছে শোনা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা ছিনতাইকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে আসি। এরপর আইনি প্রক্রিয়া মেনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।”