ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুপারি চুরির অভিযোগে শিকলে বেঁধে ১১ বছরের শিশু এবং তার বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার গ্রাম্য সালিশকারীদের মধ্যস্থতায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে শিশুটির বাবা জানান।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার সাংবাদকর্মীদের হাতে এসেছে। সেখানে গাছের সঙ্গে শিকলে বাঁধা অবস্থায় একটি শিশুকে খড়ের গাঁদায় বসে থাকতে দেখা গেছে। তার চারপাশে মানুষ জড়ো হয়ে আছে।
রোববার রাত ১১টার দিকে গ্রামের লতিফ খানের বাড়ির উঠান থেকে ৪২০টি সুপারি চুরি হয়। তারপর চুরির অভিযোগে শিশু ও তার বাবাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান লতিফ। তারপর তাদের শিকলে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।
শিশুটির বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ছেলে অল্প কিছু সুপারি চুরি করে থাকতে পারে। আমাকে জানালে আমি ছেলের বিচার করতাম। ছেলের অপরাধে আমাকেও সারারাত বেঁধে রাখে। আর ছেলেকে মারধর করায় ও এখন অসুস্থ। ওষুধ পানি খাইয়ে বাসায় রেখেছি।
“সারারাত আমাদেরকে খোলা আকাশের নীচে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখায় শীতে অনেক কষ্ট পেয়েছি। সকালে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়ে স্থানীয় সালিশদারা আমাদের ছেড়ে দেয়।”
সালিশে উপস্থিত থাকা স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল খালেক হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলেটির এমন চুরির অভিযোগ আগেও ছিলো। তবে আমরা এলাকার গণ্যমান্য লোকজন মিলে বিষয়টি সমঝোতা করে বাপ-ছেলেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।”
শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে লতিফ খান সাংবাদিকদের বলেন, “ছেলেটি সুপারি চুরি করায় তাকে বেঁধে রাখা হয়। মারধর করা হয়নি। চুরি করার পরেও বাবা তার ছেলেকে শাসন না করায় তাকেও আনা হয়।“
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”