তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন স্বজনরা।
Published : 15 Feb 2024, 10:14 PM
বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়ক থেকে এক সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরইল বাজার এলাকার জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান।
নিহত মনজুরুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে। এ ছাড়া তিনি দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে তাকে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হলেও নিহতের পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ পোষণ করছেন।
পরিবারের বরাত দিতে পুলিশ জানায়, মনজুরুল ইসলাম বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে তার এক আত্মীয়কে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে রেখে আসতে যান।
বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে এ ঘটনার শিকার হন মনজুরুল।
স্থানীয়রা সড়কের ওপর মনজুরুলের মরদেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি রাজেশ কুমার বলেন, রাতে সাংবাদিক মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, সুরতহালে দেখা গেছে, মনজুরুলের কোমরের অংশ থেকে দ্বিখণ্ডিত। বড় কোনো গাড়ির চাকার চাপে শরীরের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া রাস্তায় গাড়িটির পেছনের চাকার ছাপ অনেক চওড়া ছিল। যেটি মরদেহ থেকে বেশ কিছু দূরে ছেঁচড়ে গেছে। এর মানে, চাপা দেওয়া গাড়িটির পেছনে দুটি করে চাকা ছিল।
আদমদীঘি প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তার মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে, সেটি কেউ বিশ্বাস করছে না।”
পুলিশের কাছে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের দাবি জানান তিনি।
বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে নিহতের স্বজনেরা এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে হত্যা মামলা করতে চান। স্বজনরা থানায় এলে এ বিষয়ে জানা যাবে।