লক্ষ্মীপুরে ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি’ না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম

প্রায় সাত মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে এক ছাত্র তাকে উত্ত্যক্ত করত বলে জানান ওই ছাত্রীর মা।

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ওই কলেজ ছাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি’ না হওয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে ও ইট মেরে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোডে সামাদ স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা।

জখম হওয়া কিশোরী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।

কলেজ ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রায় সাত মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে এক ছাত্র তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এর মধ্যে ছাত্রটি প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে।

এক পর্যায়ে ছাত্রী তার পরিবারকে ঘটনাটি জানান। এ নিয়ে ওই ছাত্রকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছেও বিচার দেন ছাত্রীর মা।

তিনি আরও বলেন, “তখন ছাত্রের মা আমাদের বলেন যে, তার ছেলে আর কখনও উত্ত্যক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও সে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। ওই ছাত্র ও তার বন্ধুরা মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।”

ওই ছাত্রীর মামা বলেন, ঘটনার সময় সে কলেজে যাচ্ছিল। গাড়ি থেকে নেমে সামাদ স্কুল মোড় থেকে হেঁটেই যাচ্ছিল। পথে পেছন থেকে ওই ছাত্র ইট মারে ছাত্রীর মাথায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার সামনের অংশেও আঘাত করে। তখন তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছেলে ছিল।

সরকারি কলেজের দুজন শিক্ষার্থী জানায়, ওই ছাত্র কলেজে ক্লাস করত। দালাল বাজার কলেজ থেকে ট্রান্সফার নিয়ে সে এখানে ভর্তি হয়েছে বলে সবাইকে বলত।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম বলেন, “ছেলেটি আমাদের কলেজের ছাত্র না। সে আমাদের কলেজে ক্লাস করত কিনা তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না। ক্লাসের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। পরে ঘটনাটি জেনেছি। জখম ওই ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আমাদের কয়েকজন শিক্ষককে পাঠিয়েছি।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, এখনও মামলা হয়নি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।