রোববার গভীর রাতে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচরে শিশুটির জন্ম হয়।
Published : 27 Oct 2022, 11:33 PM
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভূমিষ্ট এক শিশুর নাম রাখা হয়েছে সিত্রাং।
গত রোববার গভীর রাতে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচরে শিশুটির জন্ম হয়।
বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী নিয়ে শিশুটিকে দেখতে তাদের বাড়ি যান। তিনি শিশুটির মায়ের হাতে কিছু খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “সিত্রাংয়ের দায়িত্ব আমি নিলাম। তার জন্য নতুন জামা মিষ্টিসহ উপহার এনেছি। এছাড়াও নগদ টাকা তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছি। ইউএনও ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাতে বলেছি।”
পরিবারটির ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে; তাই তাদের মুজিববর্ষের ঘর উপহার দেবেন বলে জেলা প্রশাসক জানান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শিশুটির মা, দাদি ও নানি।
সিত্রাং-এর মা ফারজানা আক্তার বলেন, “জেলা প্রশাসক স্যার আমাদের বাড়িতে আসবেন তা স্বপ্নেও ভাবিনি। তিনি আমার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নগদ টাকা ও খাদ্য দিয়েছেন। আমরা সবাই তার কাছে কৃতজ্ঞ।”
সিত্রাং-এর নানি রাহেনা আক্তারও খুশি জেলা প্রশাসকের উপহারে।
দাদি নুর জাহান বলেন, “ডিসি স্যার আমাদের ঘর করে দিবেন বলেছেন; এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
সিত্রাংয়ের স্বজনরা জানান, ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর জোয়ারের পানি ফারজানার ঘরে প্রবেশ করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও চলে যায়। গভীর রাতে ফারজানা আক্তারের একটি কন্যা সন্তান হয়। ততক্ষণে ঝড়ে ঘর উড়ে যাওয়ার অবস্থা। সদ্য ভূমিষ্ট শিশুকে নিয়ে মা ঘর ছেড়ে বেড়ি বাঁধে আশ্রয় নেন।
শিশুটির বাবা দিনমজুর মো. শরিফ উদ্দিন এলাকার বাইরে ইট ভাটায় কাজ করেন।
এলাকায় বিদ্যুৎ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সন্তানের জন্মের খবর তিনি এখনও পাননি বলে ফারজানা জানান।