শেখ কামালই ‘সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক’, বললেন খালিদ

“কেউ আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই- কেউ আবাসভূমি, বাসস্থান, খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা দিতে পারেন নাই; শেখ হাসিনা দিয়েছেন,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ কামালকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তার ভাষায়, “শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক।  মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি একাধারে ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। তিনি একাধারে শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেট, বাস্কেটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড়, তিনি একজন সংগীত শিল্পী, তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, রাজপথের স্পন্দিত তারুণ্য।

“তিনি স্বাধিকার আন্দোলন অন্যতম সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে যুদ্ধকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।"

শনিবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

খালিদ বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে আসে, তখন শেখ কামালই প্রথম প্রতিরোধ করেছিলেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত জিমনেসিয়ামটি আগামী প্রজন্মের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

“লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থেকে নিজেদের বিকশিত করার জন্য এ জিমনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"

আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশকে আরো উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

“অতীতে অনেক দল, সরকার, প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, কেউ আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই, কেউ আবাসভূমি, বাসস্থান, খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা দিতে পারেন নাই।  শেখ হাসিনা দিয়েছেন।”

প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন,  উপজেলা কৃষি ভবন, ভাস্কর্য ‘অবিনাশী বাংলা’, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নতুন ভবনও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও যেসব অবকাঠামো উদ্বোধন করা হয়, তার মধ্যে আছে- হাজী দানেশ কলেজের একাডেমিক ভবন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, বাজনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, দৌলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মোল্লাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন, কড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, তেতেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন  ও মহেশাইল দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন।