গাজীপুরের দুই নেতার একজন লন্ডনে এবং একজন ফ্রান্সে রয়েছেন।
Published : 12 Oct 2022, 05:20 PM
সংঘর্ষের সময় বিদেশে অবস্থান করলেও গাজীপুরের দুই বিএনপি নেতা পুলিশের মামলায় আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সোহরাব উদ্দিনকে এবং ১২ নম্বর আসামি হয়েছেন গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়্যেদুল আলম বলেন, “অথচ সোহরাব তার পাঁচ দিন আগেই ৫ অক্টোবর ব্যবসায়িক কাজে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গেছেন। আর নূরে আলম ৭ অক্টোবর ব্যক্তিগত সফরে ফ্রান্সে গেছেন।”
বিএনপি নেতা আরও বলেন, “সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেছেন, তিনি ৫ অক্টোবর বাহরাইন ও পরদিন সেখান থেকে লন্ডনে গিয়েছেন। এখনও সেখানেই আছেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি তার বিমান টিকেটের অংশ আমাকে পাঠিয়েছেন।”
তবে ফ্রান্সে অবস্থানরত নূরে আলমের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে বুধবার জানান বিএনপি নেতা কাজী সায়্যেদুল আলম।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “মামলার আসামিরা সবাই ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং গ্রেপ্তার আসামি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের আসামি করা হয়েছে।”
মামলার বাদী এসআই আলামিন বলেন, “ঘটনাস্থলে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ওই দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।”
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার গাজীপুরে সমাবেশ ও শোক মিছিলের আয়োজন করা হয়। গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এদিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্যসহ ৩৫ জন আহত হন।
রাতে গাজীপুর সদর থানার এসআই আল আমিন বাদী হয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ এ মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আতিক হাসান (২২), ছাত্রদল কর্মী আল আমিন (২০), শাকিল খন্দকার (২২), কাপাসিয়ার যুবদল কর্মী মাজহারুল ইসলাম (৩০) ও মারুফ সিকদার (৪০), কাপাসিয়ার যুবদল কর্মী মোকাদ্দেস হোসেন (৪২), আরিফ হাসান (৩০), মাহবুব আলম (২৭), খায়রুল ইসলাম (২৪), মাসুম হোসেন (২৮), নাসির উদ্দিন (৩০), মো. আশিক (২৫), এমদাদুল হক (৪৫), সদর থানা বিএনপির সদস্য রোহানউজ্জামান (৩২) ও কাপাসিয়া মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া আক্তার (৩১)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এক নম্বর আসামি জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নির্দেশে অন্য আসামিরা রাস্তা অবরোধ, পুলিশের ওপর হামলা তথা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
সংঘর্ষ: গাজীপুরে পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে