২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
Published : 25 Feb 2023, 02:06 PM
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি হাসপাতালে মারা গেছেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার রাতে ২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান।
মৃত ৭০ বছর বয়সী আব্দুল বাতেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শাহপুর গ্রামে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিসি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, বাতেনের আগে হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে রিং পরানো হয়। শুক্রবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে এবং পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বাতেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিসি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন বলে জানান সুব্রত।
২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যামামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপি নেতা পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনের কারাদণ্ডের রায় হয়েছিল।
২০১৭ সালে দেওয়া হাই কোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। পিন্টু তার আগে কারাগারে মারা যান। তোরাব আলী খালাস পান হাই কোর্টের রায়ে।
একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার রায় এখনও আসেনি বিচারিক আদালত থেকে।