বিএনপি সভা-সমাবেশের নামে দেশজুড়ে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন পরশ।
Published : 05 Nov 2022, 05:43 PM
আগামী ১১ নভেম্বরের পর রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরশ বলেন, “বিএনপি এখন মিছিল সমাবেশ করছে। আমরা বলছি, এখন যত মিছিল সমাবেশ করার ইচ্ছে করে নেন। আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগ সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। ওই দিনের পর সারা দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে।”
বিএনপি ‘প্রতারকদের দল’ মন্তব্য করে তিনি এই দল এখন সভা-সমাবেশের নামে দেশজুড়ে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন।
পরশ আরও বলেন, “বিএনপি মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সমাবেশে গিয়ে তাদের নেতারা নাকিকান্না করছে। মানুষের ভণ্ডামির সীমা আছে; কিন্তু বিএনপির কোনো সীমা নেই। তাদের কোনো লজ্জা-শরম নেই।”
সম্মেলনে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপির সমাবেশ হলে আওয়ামী লীগ পরিবহন ধর্মঘট দেয় না। এই ধর্মঘট দেন পরিবহন শ্রমিকরা। কারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানে বিএনপি অতীতে আন্দোলন সমাবেশের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে। পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
“এ কারণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বিএনপির হামলা-ভাঙচুরের ভয়ে গাড়ি বের করেন না; বিএনপির ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না।”
বিএনপি ‘জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে’ মন্তব্য করে নিখিল বলেন, “বিএনপি চাঁদাবাজদের দল। এই দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের নেতা পর্যন্ত চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।”
এখন চাঁদাবাজ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কিছু নেতা সুর মিলাচ্ছেন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে এরশাদকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এই ইতিহাস ভুলে গেছেন।
বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ এরশাদের দল জাতীয় পার্টিকে ভালো রেখেছে, বলেন নিখিল।
দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠ সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপচেপড়া ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী ও সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সংসদ সদস্য শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।