ওই ব্যাংকের নতুন শাখা ব্যবস্থাপক পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
Published : 08 Aug 2023, 10:26 PM
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর বাজারের রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আটদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন; ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ‘অর্থ গড়মিলের’ সন্দেহে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মঙ্গলবার কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, ওই ব্যাংকের নতুন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান ঘটনার পরের দিন ২ অগাস্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।”
নিখোঁজ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান (৩৫) ওই উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়ায় এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, মোহাম্মদ মফিজুর ২০১৯ সালের শেষের দিকে রূপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন।
চলতি বছরের ২৬ জুন ওই শাখায় নতুন শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. ফাইজুর রহমানকে বদলি (নিযুক্ত) করা হয়।
তিনি ১ অগাস্ট দায়িত্ব বুঝে নিতে ও যোগদান করতে ব্যাংকে এলে কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপক মফিজুর ব্যাংক থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
নিখোঁজ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান কোনো আর্থিক অনিয়ম সঙ্গে জড়িত কি-না জানতে চাইলে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাংক হিসাবে কয়েক কোটি টাকার গড়মিল রয়েছে। যে কারণে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখতে রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্তের পর মোহাম্মদ মফিজুর রহমান নিখোঁজের রহস্য বেরিয়ে আসবে।”
মফিজুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি জিডি করা কথা জানিয়েছেন ব্যাংটির বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান।
তিনি বলেন, “এই ব্যাংকে আর্থিক কোনো অনিয়ম আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ব্যাংকে এসেছিলেন। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করছেন। তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।”
তবে খুব শিগগির নিখোঁজের কারণ জানা যাবে বলে ওই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতি ও আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতীয়মান। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা যে কোনো সময় দেশ ছেড়ে যেতে পাবেরন। তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পাড়েন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়ায় এলাকায় মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। দরজায় তালা ঝুলছিল। যে কারণে পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।