বরিশাল সদর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার আনিচুর রহমান ফরাজীকে আসামি করে ওই শিশুর (৮) চাচা বন্দর থানায় মামলাটি করেন।
৪০ বছর বয়সী আনিচুর এ আর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও চরকাউয়া ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামের বাসিন্দা।
বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আর ভুক্তভোগী শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাতে ওসি জানান, বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে বিকালে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে দুই শিশুকে প্রাইভেট পড়াতে থাকেন আনিচুর।
“এক পর্যায়ে ওই শিশুকে একই পড়া দুইবার লিখতে দিয়ে অন্যজনকে পাঠিয়ে দেন তিনি। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন আনিচুর।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিশুটির বাবা নেই। তার মা অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালান।
“অনিচুর তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করলে সে বাসায় ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে দেওয়ালে মাথা ঠুকতে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “কারণ জানতে চাইলে সে বিষয়টি মাকে খুলে বলে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা সমাঝোতার প্রস্তাব দেয়। তবে এলাকাবাসীর বাধায় সেটি আর হয়নি।”
চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান নান্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আর সালিশের পর্যায়ে নেই। তাই প্রশাসনকে জানিয়েছি।”
এ আর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আনিচুর সারাক্ষণ স্কুলে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ায় কিনা জানি না।
“তবে ঘটনা শুনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেদিন ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে।”
প্রতিবেদন পাওয়ার পর আনিচুরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধান শিক্ষক জানান।