ঢাকায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটে জড়িত অভিযোগে খুলনা নগরে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ সময় কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
রোববার ভোর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সিঅ্যান্ডবি কলোনিতে এই অভিযান চালানো হয় বলে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে আকাশ নামের একজনের নাম বললেও অপর দুই নারীর নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
এ নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হলো। এর আগে শনিবার রাতে ঢাকা ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক এবং মোট ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় ঢাকার তুরাগ এলাকায় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের একটি মাইক্রোবাস আটকে চার ট্রাঙ্ক টাকা নিয়ে যায় একদল ডাকাত।
ওই ট্রাঙ্কগুলোকে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল বলে মানি প্ল্যান্টের তরফ থেকে সেদিন জানানো হয়। ওইদিন দুপুর থেকে বিকালে খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করা হয়, সেখানে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে বনানী থেকে গ্রেপ্তার সানোয়ার হাসান নামে একজনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে মিলন ওরফে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বনানী এলাকা থেকে। এরপর তার জোয়ার সাহারার বাসায় পাওয়া যায় আরও ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা।
আকাশ ও সাগর নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় উত্তরা থেকে। তাদের বাসা থেকে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম নগরীর সিঅ্যান্ডবি কলোনির টু আর-২ নম্বর ভবনের চারতলায় মো. জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাসায় অভিযান চালায়।
“ওই বাসা থেকে জাহাঙ্গীরের ভগ্নিপতি আকাশ এবং দুই নারীকে আটকের পরপরই একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।”
ওসি বলেন, “আমরা তাদের শুধু অভিযানে সহায়তা করেছি। তবে তারা কী উদ্ধার করেছে তা আমরা বলতে পারব না। ঢাকা থেকে জানানো হবে।”
অভিযানে থাকা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, আটক আকাশকে নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ বিযয়ে পরে জানানো হবে।
অভিযানের পর জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বারবার ডাকাডাকির পরও জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী দরজা খোলেননি। তারা কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিঅ্যান্ডবি কলোনি সরকারি কর্মচারীদের আবাসস্থল। জাহাঙ্গীর সরকারি কর্মচারী নন। তিনি অন্য ভাড়া দিয়ে ওই বাসায় থাকেন।