নারায়ণগঞ্জে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের মামলায় ওসি ও এসআই জেলে

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2023, 09:57 AM
Updated : 12 March 2023, 09:57 AM

পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের এক মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার তৎকালীন ওসি ও এক এসআইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-শামস্ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। 

কারাগারে পাঠানো ওসি মোরশেদ আলম বর্তমানে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা  পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এসআই সাধন বসাক টাঙ্গাইলের একটি থানায় কর্মরত আছেন।

পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর করা একটি মামলার তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। 

এই দুই আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। রোববার তারা জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।” 

মামলার নথির বরাতে মো. আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁয়ের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর, স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও বাবুল নামে তিনজনকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। 

ওই সময় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন এসআই সাধন বসাক। 

ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর আদালতে একটি মামলা করেন। 

ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমাদের তিনজনকে ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। 

“এরপর আমাদের থানায় নিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেন। এ সময় আমি অচেতন হয়ে পড়লে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।” 

“সাবেক ওসি ও এসআই সেসময় জাহিদুল ইসলাম স্বপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যারও হুমকি দেন তারা। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম স্বপন আদালতে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

“আসামিরা আমাকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। পরে আমি নিজে বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করি।”