১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে ওই সাংবাদিককে মারধর করা হয়; পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মার্চ তিনি মারা যান।
Published : 20 Mar 2024, 10:30 PM
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হারুন অর রশীদ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার এসআই মো. হেলাল উদ্দিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নেসার উদ্দীন জানান, সোমবার আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত শুনানি জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করে। বুধবার শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার শুনানি শেষে মামলার ৩ নম্বর আসামি ‘সংবাদ প্রকাশ’ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি কাসেম হাওলাদার এবং সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ৫ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম মিরাজকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
মামলার বাকি পাঁচ আসামি এনটিভির বরগুনা জেলা প্রতিবেদক সোহেল হাফিজ ও তার ক্যামেরা পারসন আরিফলু ইসলাম মুরাদ, বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম মেহেদি, ‘আজকের দর্পন’ পত্রিকার ওলি উল্লাহ ইমরান ও তাদের সহযোগী সোহাগ হাওলাদারকে পাঁচ দিন জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়া মামলার ১২ নম্বর আসামি মো. শহিদুল ইসলাম বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান এসআই হেলাল উদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুর রহমান বলেন, “আসামিদের জামিন চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হবে। তবে নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।”
১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তালুকদার মাসউদকে কয়েকজন বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২ মার্চ তিনি মারা যান।
ঘটনার দুই দিন পর ৪ মার্চ তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
তালুকদার মাসউদ ‘ভোরের ডাক’ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: