সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা চলাচল করেন জমির আইল দিয়ে, বর্ষাকালে সে উপায়ও থাকে না।
Published : 24 Nov 2023, 12:51 PM
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বিলের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল এক যুগ আগে। এতদিনেও দুপাশে সংযোগ সড়ক না হওয়ায় সেটি স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের তিনটি গ্রামের অন্তত দশ হাজার মানুষ।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ-তিননান্দিনা-বোয়ালিয়া বিলের মাঝের সড়কে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা চলাচল করেন কালভার্টের পাশের জমির আইল দিয়ে।বর্ষাকালে সেখানে পানি থাকে। তখন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভাগ পোহাতে হয়।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১১ সালে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। সে কারণে কালভার্টটি অকেজো থেকে গেছে।
“সংযোগ সড়ক নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, ইউনিয়ন পরিষদে সেই বাজেট নেই। তাই আমরাও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছি না।”
কালভার্টের দুই পাশে জমি থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় জমি থেকে উৎপাদিত ফসল সংগ্রহ করার পর তা পরিবহনে বাড়তি খরচ গুণতে হয় বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান।
এরান্দহ গ্রামের কৃষক শওকত আলী বলেন, “জমি থেকে ধান বা সরিষা কেটে নিতে হয় শ্রমিকদের মাথায় করে। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা হচ্ছে না।”
বোয়ালিয়া গ্রামের মাতব্বর ইয়াকুব আলী বলেন, “সংযোগ সড়ক না থাকায় এই পথে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। জরুরি কাজে আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পাশের জমিতে পানি জমে যায়। ওই সময় জমির আইল ব্যবহার করে যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর।”
দ্রুতই সংযোগ সড়ক করা প্রয়োজন জানিয়ে তিননান্দিনা রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, “সরকার টাকা খরচ করে কালভার্ট করেছে, কিন্তু কোনো কাজেই আসছে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত নই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে সংযোগ সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।”