গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসির রায়

দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর শরিফুল কুপিয়ে ও গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেন।

গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির ফাঁসির রায় হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম এ রায় দেন।

দণ্ডিত শরীফুল আলম ওরফে শরিফুল ইসলাম (৪৫) নীলফামারী সদরের রামকলা মৌলভীপাড়ার নুর আলমের ছেলে।

স্ত্রী মোহছেনা বেগমকে (৩৫) নিয়ে গাজীপুর মহানগরের কাশীপুর থানার সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তারা দুজনই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান খান জানান, আগের বিয়ে ও চার সন্তান থাকার কথা গোপন করে ঘটনার তিন বছর আগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে মোহছেনাকে বিয়ে করেন শরীফুল। পরবর্তীতে আগের বিয়ে ও সন্তান থাকার খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকে মোহছেনার সঙ্গে শরীফুলের সাংসারিক কলহ দেখা দেয় এবং মোহছেনা শরীফুলকে তালাক দেন।

এর জেরে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর বসতঘরের দরজা আটকে মোহছেনাকে বটি ও চাকুর আঘাতে খুন করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং মোহছেনার স্বামী শরীফুলকে গ্রেপ্তার করে।  

ঘটনার দিনই শরীফুলের বিরুদ্ধে মোহছেনার ছোট ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তার শরীফ আদালতে পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তিনি স্বীকার করেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে শরিফুল বটি দিয়ে কুপিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে স্ত্রী মোহছেনাকে হত্যা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিমপুর থানার এসআই তাপস কুমার ওঝা ২০২১ সালের ১০ মার্চ অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী (ভারপ্রাপ্ত পিপি) মো. মকবুল হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষের ছিলেন আইনজীবী ফারহানা খানম।