কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উপর স্থানীয় বহিরাগতের হামলার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো তারা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মেদ হাসান জিসাদ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত হাসান। তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার দুপুরে আকাশ নামে বহিরাগত এক স্থানীয় তরুণ ক্যাম্পাসের লেকে প্রবেশ করেন এবং গোপনে সেখানে অবস্থানকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে ভিডিও ডিলেট করতে বলেন। এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে আকাশ হুমকি দিয়ে চলে যান।
বিকালে ওই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে স্থানীয়রা।
হামলায় ইবির ওই দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন। প্রথমে তাদের ইবি মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীর ওপর হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ তিন দফা দাবি দেন। ওই সময় ক্যাম্পাসের অন্তত পাঁচ শত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা সড়কের দুই পাশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে তাদের দাবি মতো শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেয়ে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন রাত পৌনে ১০টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদত হোসেন বলেন, “ইবি শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তারা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে।”
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।