যমুনা সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপ প্রয়োজন।
Published : 15 Oct 2023, 05:23 PM
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সার কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, যমুনা সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপ প্রয়োজন। কিন্তু এ চাপ ৯ পিএসআইয়ে নেমে এলে আর উৎপাদন সম্ভব হয়না।
কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস স্বল্পতার কথা জানিয়েছিল বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “গ্যাস স্বল্পতার কারণে সোমবার দুপুর থেকেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি উৎপাদন চালু থাকলেও সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।”
আবারও উৎপাদন চালুর ব্যাপারে নিশ্চিত সময় বলতে না পারলেও কমান্ড এরিয়ায় সারের ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
যমুনা সার কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন। শুরুতে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করলেও গত কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও মেশিনারিজ ত্রুটির জন্য উৎপাদন কমে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনে নামে।
গত কয়েকবছর গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে যমুনা সার কারখানায় বেশ কয়েকবার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সবশেষ সোমবার দুপুরে গ্যাসের চাপ হঠাৎ কমে যায়। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে কারখানার ইউরিয়া সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।
জেএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, যমুনা সার কারখানার দানাদার সার গুণগত মান অন্যান্য যে কোনো কারখানার চেয়ে ভালো। এই কারখানা বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ২০ জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে। এটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া আশঙ্কার।
দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত ও উৎপাদন চালুর দাবি জানান তিনি।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]