আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 12 Jan 2024, 03:58 PM
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় সংঘর্ষের সময় ছররা গুলিতে দুই ভাই আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে এ সংঘর্ষ হয় বলে কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান।
আহতরা হলেন-ওই এলাকার কেঁদো শেখের ছেলে জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা চালান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী ও খোকশা আসনের নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জকে ভোট দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফের সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে আহতদের পরিবার অভিযোগ করেছে।
তবে পুলিশ বলছে, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, “ছররা গুলিবিদ্ধ দুজনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।”
স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ বিভিন্ন কারণে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। সকালে ওই দুই পক্ষের মধ্যে কালোয়া মোড়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আলতাফ ও জিয়ার হোসেন ছররা গুলিতে আহত হন।
আহত আলতাফ ও জিয়ার ছোট ভাই ইয়ারুল আলীর অভিযোগ, “নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ হামলা করেছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুর রউফের সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে রিপন আলী বলেন, “প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছিল। এ কারণে তারাও প্রতিপক্ষকে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
ঘটনাটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা কি-না জানতে চাইলে ওসি আকিবুল বলেন, “পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে গুলির বিষয়ে কিছু জানা নেই। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি তবে তদন্ত চলছে। যারাই জড়িত থাকুক, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।