মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা বিধ্বস্ত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার বিকালে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় মেঘনা নদী তীরবর্তী হোসেন্দি ইউনিয়নের নতুনচর ও রঘুরচর এলাকার পাঁচ থেকে ছয়টি, গুয়াগাছিয়া এলাকায় তিন থেকে চারটি বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে।
এ সময় গাছপালা পড়ে উপজেলার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফুলদী নদীর পার্শ্ববর্তী ইমামপুর ও গজারিয়া ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে।
রঘুরচর গ্রামের বাসিন্দা বাহাউদ্দিন মোল্লা জানান, গ্রামের পূর্বপাড়ায় পাঁচ থেকে ছয়টি ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গুয়াগাছিয়া এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, “তীব্র বাতাস আর শিলাবৃষ্টিতে আমার তিন বিঘা জমির ভুট্টা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যারা ভুট্টা, ধান, আলু, সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছিলেন সবার একই অবস্থা। এতে অসংখ্য কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গজারিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, “বিকালে দিকে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কিছু জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। আমাদের কর্মীরা অপসারণের কাজ করছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, প্রাথমিকভাবে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।