ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেদে পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগের এক সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
মঙ্গলবার রাতে একাধিবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম মোল্লা।
নিহত ৪৫ বছরের আরিফুল ইসলাম কাশিপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম লস্করের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওসি আব্দুর রহিম জানান, কাশিপুর বেদে পল্লীতে মনিরুল ইসলাম ও রাসেল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি গ্রুপ আছে। জুয়া ও মাদক কেনাবেচা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে মারামারি হয়। কয়েক দিন আগে নারীঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ তীব্র হয়।
এর জেরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মনিরুল ও রাসেলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর হয়। এরপর সংঘর্ষ থেমে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে উভয় পক্ষ ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আরিফুলেরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে ফরিদপুরে তিনি মারা যান।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কাশিপুর বেদেপল্লীতে দু’গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করে দিয়েছি। কিন্তু তারা মিমাংসা মানে না।”
মেয়র জানান, নিহত আরিফুল ইসলাম এক সময় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এখন তাকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায় না।
তবে কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল জানান, “আরিফুল ইসলাম যুবলীগের সাথে জড়িত নন। আগে ছিলেন কিনা তা বলতে পারবো না।”