নেত্রকোণার মদন উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে অগ্নিদগ্ধ প্রবাসী একলাছ উদ্দিন পাঁচ দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন একলাছ। শনিবার রাতে সেখানেই তিনি মারা যান বলে মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান।
কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে একলাছ উদ্দিন (৩৫) অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।
ঘটনার দুদিন পর একলাছ উদ্দিনের চাচাত ভাই কসিম উদ্দিন বাদী হয়ে তার একলাছের স্ত্রী মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের মুক্তা আক্তার, শ্বশুর এখলাস উদ্দিন (৫৫), শাশুড়ি লুৎফুন্নেছা (৫৩) নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকেই তিনজন পলাতক আছেন।
মামলায় বলা হয়, ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে মুক্তা আক্তারকে বিয়ে করেন একলাছ উদ্দিন। বিয়ের কিছুদিন পরেই একলাছ মালেয়েশিয়া চলে যান। পরে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় তার আয়ের টাকা তিনি স্ত্রীকে পাঠাতেন।
দেশে আসার পর এই টাকা নিয়ে স্ত্রী ও তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে একলাছের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, আগের হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর পাশাপাশি তদন্ত চলছে।