ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন একজন।
নিহতরা হলেন মাঈন উদ্দিন আখন্দ (৫০) ও আবু জাফর সিদ্দিকি তারেক (৩৩)।
রাজধানীর নর্থ সাউথ রোডে বিআরটিসির ফুলবাড়িয়া টার্মিনালের অদূরে সাত তলা ‘ক্যাফে কুইন’ ভবরে মঙ্গলবার বিকালে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার ধ্বংসস্তূপের নিচে মেলে আরও দুই লাশ।
মাঈন উদ্দিন আখন্দ মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুরের মৃত সমির আখন্দের ছেলে। তিনি ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেটের একটি স্যানেটারি দোকানের ম্যানেজার ছিলেন।
আহত মুসা হায়দার আওলাদকে (২৫) শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সাজারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার আধারার সৈয়দপুর আল আমিন মাদ্রাসা মাঠে নিহতের নামাজে জানাজা শেষ স্থানীয় সামাজিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
অপর নিহত আবু জাফর সিদ্দিকি তারেক গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোজাম্মেল হক খোকার ছেলে।
নিহতের বড় ভাই কক্সবাজারের রামু থানার রাখাইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এবি সিদ্দিক মাসুদ জানান, স্যানিটারি পণ্য আনতে গিয়ে ক্যাফে কুইন রেস্টুরেন্টে ইফতারির প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন তিনি। খাওয়া-দাওয়ার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে মারা যান।
এ সময় তারেকের সঙ্গে থাকা তার চাচাত ভাই কোরআনে হাফেজ মুসা হায়দার আওলাদ গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তারা দুজনেই শবে বরাতের নফল রোজা রেখেছিলেন।
বুধবার সকালে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে মাসুদ জানান।
নিহত তারেকের খালাত ভাই রাশেদুল হাসান জানান, তারেক ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ব্যবসার চেষ্টা করছিলেন। ঢাকার যাত্রাবাড়িতে থাকতেন তিনি। ঘটনার দিন গ্রামের বাড়ির ভবন সংস্কারের কাজের জন্য স্যানিটারি মালামাল আনতে গিয়ে তিনি ওই দুর্ঘটনার মারা যান।