জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, আট হাজার ৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Published : 17 Nov 2023, 09:30 AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ‘মিধিলি’ নামের ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস ৬২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোসা. মাহবুবা সূখী।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পটুয়াখালীতে। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়।বিরতিহীনভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুন্দ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নেওয়ার শঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় পটুয়াখালীতে জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার শেষ রাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি'তে রূপ নিতে পারে তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জরুরি সভা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, আট হাজার ৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, সাত লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা, ৬৫০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। খাবার স্যালাইন, খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও পর্যাপ্ত প্রস্তুত রয়েছে। ৮২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।