এদিন আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ।
Published : 12 Jan 2023, 10:55 PM
পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বৃহস্পতিবার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর আরমবাড়িয়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিম (২৬) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
আনোয়ার উদ্দিন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই এবং মামলার দুই নম্বর আসামি। আনোয়ার পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আনোয়ারের ভাই কামালও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে মামলার চার নম্বর আসামি ইব্রাহিমের বাড়ি ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লা। এ নিয়ে মামলার চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো।
পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি (শ্যালো মেশিনচালিত) ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন।
এ নিয়ে কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন হোসেন (২৫), রকি (২৬) ও সুমনের সঙ্গে লেগুনা চালকের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন আসেন। তার সঙ্গেও তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
পরে আনোয়ার দলবল নিয়ে আবার সেখানে যান। তখন মামুন, রকি ও সুমনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে গুলি করলে মামুন ঘটনাস্থলেই মারা যান, রকি গুলিবিদ্ধ হন। আর সুমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
রকি ও সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরদিন ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:
গুলি করে রিকশাচালককে হত্যা: পাবনার কাউন্সিলর ও তার ভাতিজা গ্রেপ্তার