‘পুলিশ পরিচয়ে লুট’, গ্রেপ্তার ১২ জন, সোনা উদ্ধার ১৭৭ ভরি

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২০০ ভরি সোনার গহনা, ৪০০ ভরি রুপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা লুটে নেওয়া হয়।

কেরানীগঞ্জ-দোহার- নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2023, 05:26 PM
Updated : 9 May 2023, 05:26 PM

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে সোনা ও রুপা লুটের অভিযোগে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ১৭৭ ভরি সোনা ও ৩৮৬ ভরি রুপা উদ্ধার করেছে।

সাতদিন রাজধানী ও এর আশপাশের জেলায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানান ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। 

গ্রেপ্তাররা হলেন পাবনার জয়নগরের নুরুজ্জামান হোসেন ওরফে মুক্তার হোসেন (৫০), কুমিল্লার লাকসামের শ্রীয়াং গ্রামের সালেহ আহম্মেদ সাইফুল ওরফে টাকলু সাইফুল (৪০) ও নাজির হোসেন (৩৫), মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সুলতানপুর গ্রামের মো. হুমায়ুন কবীর (৫০), মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের মধ্যকামারগাওয়ের শাহাদাৎ গাজী (৩৫), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের গোয়ারিয়া গ্রামের মো. মান্নান মিয়া (৪১), দড়িপাড়া গ্রামের মো. হুমায়ুন মিয়া (৩৬), টুকনিখোলা গ্রামের মো. শাকিল খান (৩৫), মির্জাপুরের করোরা গ্রামের জাহাঙ্গীর মল্লিক (৪২), নীলজারের আব্দুস সামাদ শিকদার (৪৫), ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা মাঝপাড়ার শ্যামল সরকার (৩৫) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদীর রিপন মিয়া (২৮)।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, এই ১২ আসামিকে দুপুরে আদালতে তোলা হয়। আদালত ৯ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। বাকি ৩ আসামি জবানবন্দি দেওয়ায় তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা বাজারের দিয়া জুয়েলার্সে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী কৃষ্ণ সাহা (৫২)। ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের আগলা পোস্ট অফিসের সামনে একটি সাদা রংয়ের হায়েস গাড়ি তার গতিরোধ করে।

ওই গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, তার নামে ওয়ারেন্ট আছে। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে মারধর করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা প্রায় ২০০ ভরি সোনার গহনা, ৪০০ ভরি রুপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা লুট করে নেয় তারা। পরে তাকে সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের চঙ্গপাড়া এলাকায় ফেলে চলে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, সিসিটিভি ভিডিও ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলা পুলিশ টানা সাতদিন রাজধানী ও আশপাশের জেলায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রটির প্রধান মোক্তারসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

“জানা যায়, চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮/১০টি করে মামলা রয়েছে।”

তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকদের কাছ থেকে ওয়াকিটকিসহ লুট হওয়া ১৭৭ ভরি সোনা ও ৩৮৬ ভরি রুপা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হায়েস গাড়িটিও।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তর (অপরাধ) আব্দুল্লাহিল কাফি, দোহার সার্কেলের এএসপি আশরাফুল আলম, নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ, পরিদর্শক আশফাক রাজিব হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।