ইসি বলেন, যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই সব আইনগত অধিকার ভোগ করবেন।
Published : 21 Apr 2024, 09:11 PM
নির্বাচন চলাকালীন কোনো জনপ্রতিনিধি প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, “এখানে (নির্বাচনে) কে কার আত্মীয় আর আত্মীয় নন; সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হল তিনি প্রার্থী কিনা। প্রার্থী হলে তিনি সকল আইনগত অধিকার ভোগ করবেন। যেসব কাজ করার তার অধিকার নেই, আইন অমান্য করে সেসব কাজ করলে তিনি যার আত্মীয়ই হোন না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান ইসি আলমগীর।
“আমরা কোনো অপশক্তি ও অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করব না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা করণীয় সবই করা হবে,” যোগ করেন তিনি।
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সভার আলোচ্য বিষয় তুলে ধরে আলমগীর বলেন, “সভায় কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে, সেগুলো কীভাবে সমাধান করতে পারবো তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনি এলাকাগুলোতে সাঁটানো সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, “নিয়মের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত নির্বাচনি ক্যাম্প করা হলে তা সরিয়ে নিতে হবে, প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা পুড়িয়ে দেবে।”
প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে সে বিষয়ে নির্বাচনি এলাকায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উত্তেজনা থাকে। তবে সে উত্তেজনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বা সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকবে। কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।”
যারা ইতোমধ্যে নির্বাচনি আইন ভেঙ্গেছেন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।