ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপারসহ আট পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আরিফুল হক মাসুদ জানান, বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন নিহত নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ।
যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়েছিল তারা হলেন- জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এসআই আফজাল হোসেন খান ও বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস ও শফিকুল ইসলাম।
গত ১৯ নভেম্বর শনিবার বিকালে বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়ন গুলিবিদ্ধ হন; পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
পুলিশের গুলিতে নয়নের মৃত্যু হয়েছে বলে ছাত্রদল দাবি করলেও পুলিশ তা নিশ্চিত করেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম শনিবার বলেছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। তবে নয়ন কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।