দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সজলের (৪৩) দাফন হয়েছে।
সোমবার সকালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জগতপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানান দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান সবুজ।
নিহত ওমর ফারুক সজল ওই গ্রামের মোহসেন আলী হাজী বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।
আফ্রিকায় বসবাসরত নিহতের ছোটভাই ফয়সাল সজীবের বরাত দিয়ে মা কহিনুর বেগম জানান, তার ছেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রিস্টেট প্রদেশের ব্লুম ফন্টেইনের বুসাবিলু এলাকায় ১৮ বছর ধরে বসবাস ও ব্যবসা করছিলেন। এ ছাড়া তিনি ওই এলাকার বাংলাদেশি কমিউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
“গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই এলাকায় দুজন কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী গুলি করে সজলকে হত্যা করে।”
কহিনুর বেগম আরও বলেন, “দোকান কর্মচারীর সঙ্গে সজলের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেন কমিউনিটির লোকজন। ওই কর্মচারীকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ১০ হাজার টাকা কম দিয়েছিল সজল। এ কারণে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করিয়েছে দোকান কর্মচারী। আমি ছেলে হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।”
দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান সবুজ বলেন, “ইমারত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার ভোরে ঢাকায় অবতরণ করে সজলের মরদেহ৷ নিহতের বোন সানজিদা আক্তার ও চাচাতো ভাই জমির উদ্দিন শামীম দেহটি বুঝে নেন।”
সজলের খালু মো. করিম বলেন, “সোমবার সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়েছে। জানাজায় দাগনভুঞা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেলায়েত উল্লাহ স্বপন, পৌর কাউন্সিলর একরাম, সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান সবুজসহ গণ্যমান্য বক্তিরা ছিলেন।”
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান সজলের মরদেহ দাফনের বিষয়ে পুলিশ অবগত আছে।