মঙ্গলবার দুপুরে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকায় প্রচারের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
Published : 27 Dec 2023, 12:17 AM
প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউ কেউ ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেছেন, “আমার প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যুদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অর্থে নির্বাচনে নেমেছে। ভূমিদস্যুরা ওই প্রার্থীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। তারা একজন পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে দখল করতে চায়।”
মঙ্গলবার দুপুরে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকায় প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সামনে এমন অভিযোগ করেন এ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য এবং সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বী কারা সেই নাম তিনি উল্লেখ করেননি।
রাজধানী ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশে এ কে এম শহীদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির জোবায়ের আলম ভুঁইয়া লড়ছেন।
এ ছাড়া রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, গাজী গোলাম মুর্তুজা, মো. হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এখানে ভোট করছেন।
গোলাম দস্তগীর বলেন, “আমি ভূমি রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। কিন্তু ভূমিদস্যুরা এতই ক্ষমতাবান যে, তারা প্রশাসনকে পর্যন্ত হার মানিয়ে দেয়। ভূমিদস্যুরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে তারা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়।
“তারা অন্যের জমি দখল করে, জমির মালিককে আঘাত করে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এভাবে হাজারো মানুষকে নাজেহাল করে তারা সবগুলো জায়গা দখল করতেছে।”
ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জে ‘একচ্ছত্র আধিপত্যের’ উদ্দেশ্যে তার বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী।
গোলাম দস্তগীর বলেন, “আমি তো ব্যবসায়ী, আমার নিজের ব্যবসা আছে। সুতরাং আমার তো অর্থ খরচ করাতে কোনো সমস্যা নেই। তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) কীভাবে অর্থ খরচ করছে? তাদের ভূমিদস্যুরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে। কারণ ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জকে দখল করতে একজন পুতুল এমপি বানাতে চান। কিন্তু রূপগঞ্জের জনগণ তা হতে দেবে না।”