ফের সংঘর্ষ ও হামলার আশঙ্কায় সোমবার রাত থেকে দোকান বন্ধ রেখেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
Published : 16 Aug 2023, 05:58 PM
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা; পাশাপাশি ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি পালন করছেন।
ফের সংঘর্ষ ও হামলার আশঙ্কায় ঘটনার দিন থেকে দোকান বন্ধ রেখেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।
সংঘর্ষের ঘটনায় দোষীদের বিচারসহ তিন দাবিতে বুধবার হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে তালা দিয়ে কলেজে গেইটের কাছে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর বলেন, “হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ মামলা আকারে গ্রহণ করেনি।
“কলেজ প্রশাসন বলছে, সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ঘটনার যত দেরি হয়, বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা তত কমে যায়। তাই হামলাকারী ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।”
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেই ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সেবা বন্ধ রেখেছে বলেও জানান তিনি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির মধ্যে একটি হল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে দুটি মডেল ফার্মেসি তৈরি করা। শিক্ষার্থীদের ওই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
“ফার্মেসি তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কমিটি দরপত্র আহ্বান করবে।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে না ফেরায় চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার।
রোগীদের অধিকাংশ ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অল্প কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালের সামনের দোকান বন্ধ থাকলেও আশপাশের বয়রা বা সোনাডাঙ্গা এলাকার সব ওষুধের দোকান খোলা আছে।”
হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানালেন, তারা কোনো ধর্মঘট পালন করছেন না। তাদের আশঙ্কা দোকান খুললে আবারও হামলা করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এজন্যই দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের বিকালে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ শিক্ষার্থী এবং ৯ জন ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
খুলনা মেডিকেলের ছাত্রদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ, আহত ২৪