২ জুলাই খালেককে রাস্তায় একা পেয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীরা কুপিয়ে জখম করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
Published : 17 Jul 2023, 10:07 PM
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেরপুর সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক ব্যক্তি ১৫ দিন পর মারা গেছেন।
সোমবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে শেরপুর সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান।
এদিকে এলাকায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত আব্দুল খালেক (৫০) সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চকপাড়া এলাকার প্রয়াত ফরহাদ আলীর ছেলে।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ জুলাই বিকালে রঘুনাথপুর চকপাড়া এলাকায় খালেককে রাস্তায় একা পেয়ে কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
খালেককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় খালেকের স্ত্রী আসমাউল হোসনা বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলায় ফারুক আহম্মেদ (২৬) ও সোহেল রানাকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কয়েকদিন পর তারা জামিনে বের হয়। তবে ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার রাতে কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান বলেন, “খালেকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এলাকার থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
ওসি বছির আহমেদ বলেন, খালেকের মৃত্যুর সনদসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পর আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।