নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি বাসায় `লিকেজ থেকে জমা’ গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ মামার পর ভাগনির মৃত্যু হয়েছে৷
বুধবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান এই হাসপাতালের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।
নিহত ২৪ বছর বয়সী সাহেরা বেগমের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল৷
এর আগের গত সোমবার সন্ধ্যায় সাহেরার মামা ৪৫ বছর বয়সী সোনা উদ্দিন একই হাসপাতালে মারা যান৷ তার শরীরের ৯৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান এই চিকিৎসক।
গত ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আখাউবো বাজার এলাকার একটি বাসায় ওই বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
গৃহবধূ হাসন বানু (৫৫), তার স্বামী আলী আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮) যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ, ৫৮ শতাংশ, ১৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, “তিনতলা ভবনের নিচতলায় একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণটি ঘটে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় এই ভবনে রাইজারের মতো একটি মেশিন স্থাপন করা হয়। ওই লাইনের লিকেজের কারণে ফ্ল্যাটে গ্যাস জমেছে এবং বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা।”
পুরানো খবর