ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলে মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে রংপুর যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটান পিতৃত্ব অস্বীকার করে আসা লাল মিয়া, বলে জানায় পুলিশ।
Published : 30 Oct 2023, 09:45 PM
কুড়িগ্রামে তিস্তা সেতু থেকে নবজাতককে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; যিনি নবজাতকটির পিতৃত্ব অস্বীকার করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার লাল মিয়া ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকার বাসিন্দা।
নদীতে ফেলে দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতককে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
পরে লালমিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে নাগেশ্বরী থানায়।
শুক্রবারের ওই ঘটনায় শনিবার রাতে লাল মিয়াকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। পরে যাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সোমবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন জানান, এ ঘটনায় রোববার নাগেশ্বরী থানায় হত্যা মামলা রুজু হয় এবং লাল মিয়া আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০২০ সালে লাল মিয়ার সঙ্গে ছামিরনের বিয়ে হয়। তবে লাল মিয়ার পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা দুজন নাগেশ্বরী উপজেলার তেঁতুলতলায় একটি বাসা ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
পরে চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে তার স্বামী সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করে আসছিলেন।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ জানায়, পিতৃত্ব নিয়ে ঝামেলার মধ্যে গত শুক্রবার বিকালে লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ছামিরন ও নবজাতককে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রংপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “এরপর সন্ধ্যার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর কথা বলেন। দুধ খাওয়ানোর এক পর্যায়ে ছামিরনের কোল থেকে সন্তানকে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
“পরে ছামিরন আর্তনাদ ও কান্নাকাটি করলে পথচারীরা ঘটনাটি জানতে পারে। এরপর উপস্থিত লোকজন ফোন দিলে কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতককে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।”
তিনি বলেন, এরপর ছামিরন বাড়ি ফেরার পথে তার স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সুকৌশলে মোবাইলে ফোন করে তাকে আসতে বলে। পরে শনিবার রাতে লাল মিয়া বাসায় এলে পুলিশে খবর দেন ছামিরন।