বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণেই জাতির জন্য স্বাধীনতার সব দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, “৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এটি এমন একটি ভাষণ যেখানে বঙ্গবন্ধু এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিক নির্দেশনা সেখানে ছিল।”
বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন-ওটা বলবেন। বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন ‘আপনি আপনার মনের কথা বলবেন’।”
মন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। তাঁর নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল।
ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়।”
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বার বার শুনতে হবে। মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে।”
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন, সাবেক অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম খান, সাবেক ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আফজাল হোসেন এবং নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবু বক্কার সিদ্দিক।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।