রংপুর সিটি নির্বাচন: প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ, সভায় নিষেধাজ্ঞা

প্রার্থী নিজ দায়িত্বে এই কাজ না করলে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2022, 07:19 PM
Updated : 10 Nov 2022, 07:19 PM

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রদর্শিত সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

প্রার্থী নিজ দায়িত্বে এই কাজ না করলে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

একই সঙ্গে সকল প্রকার মিছিল-মিটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই নির্দেশনার কথা জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন।

এ সময় রংপুর জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা যা করণীয় তাই করা হবে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য আইনানুগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণ বিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সকল ধরনের ব্যানার, পোস্টার ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে।

“কিন্তু গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলেও এখনও নগরজুড়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে আছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী যদি নিজ দায়িত্বে এসব সামগ্রী অপসারণ না করেন তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মগ ভোটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য খুব দ্রুত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হবে। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

গাইবান্ধার মত সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশ্ন করলে আবদুল বাতেন বলেন, “এগুলো নির্বাচন কমিশনের নলেজে আছে। কেউ যেন কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট কেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০১টি ভোট কেন্দ্রের ১৩৭টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটি করপোরেশনে। এই সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়তে আড়াই শতাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।