ওসি বলেন, “সুমনের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এক অফিসারকে পাঠিয়ে ছিলাম।”
Published : 12 Aug 2023, 10:11 PM
সন্ত্রাস দমন আইনে মামলার আসামি বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার সুমনের স্ত্রী সানজিদা খাতুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ‘জঙ্গি আস্তানা’য় আটক হয়েছেন।
২০১৬ সালে সন্ত্রাস দমন আইনে সুমনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর পরই তিনি স্ত্রী সানজিদাকে নিয়ে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সানজিদা খাতুনের বাড়ি সারিয়াকান্দীর উপজেলার হাট শেরপুর ইউনিয়নের নিজ বলাইল গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল। পরে সানজিদার মা একই গ্রামের আব্দুল লতিফকে বিয়ে করেন। সুমন আব্দুল লতিফের ছেলে।
কুলাউড়ায় ‘অপারেশন হিলসাইটের’ পর পুলিশ এরই মধ্যে সুমনের বাবার সঙ্গে কথা বলেছে।
কুলাউড়ার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টি উলি গ্রামের বাইশালী বাড়ি নামক এলাকার একটি বাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করার কথা জানায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তাদের সঙ্গে তিন শিশুও রয়েছে।
কুলাউড়ায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান, আটক ১০
সিরাজগঞ্জের নিখোঁজ চিকিৎসকের স্ত্রী আটক কুলাউড়ার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে
সাড়ে চার ঘণ্টার অভিযানে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন সংগঠনের প্রধানসহ ১০ ‘জঙ্গিকে’ আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী।
সারিয়াকান্দী থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “মামলার পর থেকেই সুমন তার স্ত্রী সানজিদাকে নিয়ে পলাতক জীবনযাপন করছেন।
“সুমনের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এক অফিসারকে পাঠিয়ে ছিলাম। তার বাবা জানান, সুমন এবং তার স্ত্রী নওগাঁর একটি ইটভাটায় কাজ করেন।
ওসি আরও বলেন, “এখনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশ পাইনি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। অনুমতি পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করব।”
সারিয়াকান্দীর হাট শেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আলো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যতটুকু খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সুমন এবং তার স্ত্রী সানজিদা খাতুন এক বছর আগে নওগাঁয় ইটভাটায় কাজ করতে যায়। তবে এর আগে এলাকায় অবস্থান করছিল কি-না জানি না।
তিনি আরও বলেন, “আগে তারা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাস করলেও যমুনার ভাঙনের পর ২ নম্বর ওয়ার্ডে চলে আসেন। স্বামী-স্ত্রী এখনও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।”