শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেনকে সভাপতি এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্যসচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 19 Sep 2024, 11:28 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এ বি এম আজিজুর রহমান জানান।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের রাজু মিয়া, ইংরেজি বিভাগের মাহমুদুল হাসান, ইতিহাস বিভাগের জুবায়ের আহমেদ ও একই বিভাগের হামিদুল্লাহ সালমান, ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সোহাগ মিয়া এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আহসান লাবীব।
তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আদেশ ২০১৮-এর ৩ (২) (গ) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেনকে সভাপতি এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন- দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এমরান জাহান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে মোল্লা শামীমকে মারধরের পর বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। এরপর পুলিশ শামীমকে হাসপাতালে নিলে রাত সোয়া ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা একজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তাকে পেটানো হয়।
তার বিরুদ্ধে জমি দখলে সহায়তা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
শামীমের মৃত্যুর পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন:
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: জাবির সমন্বয়ককে অব্যাহতি
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু: ৫ দফা মারধরের পর দেওয়া হয় পুলিশে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা