চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণের মামলায় এক ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাজীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর বাবা মামলা করেছেন। তারপরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
“ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা কিশোরের বয়স নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাকে এখনও আদালতে পাঠানো হয়নি। বয়স নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তাররা হলেন– ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা কিশোর, তার দুই চাচাতো বোন, চাচাতো ভাই মো. হাবিবুর রহমান সর্দার (৩০) এবং ইউপি সদস্য মো. রহমত উল্যাহ।
মামলায় বলা হয়, ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২১ মার্চের পর সে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
তখন কিশোরীর পরিবার বিষয়টি ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জানায়। তারা ১২ মে সালিশে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ সময় জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ করে কিশোরীর বাবা বলেন, প্রতিকার না পেয়ে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ছেলে-মেয়ে উভয় অপ্রাপ্ত বয়সের। আমি তাদের থানা বা আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।”