১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
Published : 29 Sep 2024, 08:02 PM
‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার মধ্যে কোনো বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
রোববার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার পরিদর্শনে এসে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী একথা জানান।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গেও কথা বলেন।
১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার রেশ ধরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। এতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
ঘটনা তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।
কমিটির প্রধান মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী বলেন, “ঘটনার কারণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি সেসময়ে গণমাধ্যমে যেসব ভিডিও প্রচারিত হয়েছে এবং পত্র-পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা হবে।
“এ ছাড়া যারা আহত বা নিহত হয়েছেন সেই তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় কোনো বাস্তুচ্যুতির ঘটনা হয়েছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
এ সময় কমিটির সদস্য ছাড়াও দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।