চিলমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে পাঁচজনই আসেননি।
Published : 29 Oct 2024, 09:47 PM
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ডাকা ডিসির মতবিনিময় সভায় ছিলেন না ইউপি চেয়ারম্যানরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে কুড়িগ্রামের ডিসি নুসরাত সুলতানার মতবিনিময় সভায় চিলমারীর ছয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে পাঁচজনই আসেননি।
একমাত্র রমনা মডেল ইউপির চেয়ারম্যান মো. গোলাম আশেক আঁকা এতে ছিলেন।
অনুপস্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন, নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও থানাহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মিলন, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ও অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “ডিসি স্যারের মতবিনিময় সভায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো না থাকায় যেতে সাহস পাইনি।”
চিলমারী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আগে দুইবার ডিসি স্যারের প্রোগ্রাম পেছানো হয়েছিল। আজকের প্রোগ্রামের বিষয়ে আজ সকালে আমাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আমি বাইরে আছি তাই আসতে পারিনি।”
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নঈম উদ্দিন বলেন, “মতবিনিময় সভার বিষয়ে সব ইউপি চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা কেন আসেননি বিষয়টি আমার জানা নেই।”
এদিকে, ডিসির মতবিনিময় সভায় না আসা চেয়ারম্যানদের নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল বারী সরকার বলেন, “আজকের সভাটি ছিল চিলমারী উপজেলার সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি দুঃখজনক।”
মতবিনিময় সভায় চরাঞ্চল, নদী, কর্মসংস্থান, বাল্যবিবাহসহ নানা সমস্যা, সম্ভাবনা ও উত্তরণ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতা, সুধিজন ও সাংবাদিকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এতে ইউএনও নঈম উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় ডিসি নুসরাত সুলতানা চিলমারীর উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চান।