বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
Published : 24 Apr 2025, 04:27 PM
কয়েকদিন ধরেই মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছেন জেলার মানুষ।
সকাল থেকে জেলায় থাকছে প্রখর রোদের তাপ। বেলা গড়াতে না গড়াতেই ঝাঁঝালো রোদে ঘরের বাইরে থাকা দুস্কর হয়ে পড়ছে। এতে রিকসা-ভ্যানচালকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেশি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগের দুদিনও মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। বুধবার বিকাল ৩টায় জেলায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
তাপমাত্রার চলমান অবস্থা কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এদিকে রোদ-গরমের কারণে শহরের অনেককে গাছের নিচে কিংবা রাস্তার পাশের কোনো স্থাপনায় ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেলেন সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আজিজ হোসেন।
তিনি বলেন, “সকাল থেকে তীব্র রোদের তাপ। তার মধ্যেই বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ খুবই গরম। সহ্য করা যাচ্ছে না। হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই এখানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি।”
চত্বরে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের ভ্যান চালক ইদ্রিস আলী বলেন, “বেলা যত বাড়ছে গরমও তত বাড়ছে। রোদের কারণে খোলা ভ্যানে কেউ উঠতে চাচ্ছেন না। যাত্রী পাচ্ছি না। উপার্জন কমে গেছে।”
পুরানো খবর