“কারখানা বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।”
Published : 24 Sep 2024, 03:53 PM
সাভারের আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ৫৫টি পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ সৃষ্টির অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুলিয়ার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়কের দুইপাশে অবস্থিত অধিকাংশ কারখানায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিস লাগানো রয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
এর মধ্যে ৪৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং নয়টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
শিল্প পুলিশ জানায়, নূন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু কারখানায় গত রোববার থেকে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এরই জেরে মহাসড়কের উভয়পাশে অবস্থিত অর্ধশত কারখানা বন্ধসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবারও ওই এলাকার হা-মীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, এনভয়, নাসা গ্রুপ, স্টারলিংসহ ৪৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নয়টি কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি পালন করায় ‘বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায়’ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
তবে ডিইপিজেডসহ বাকি কারখানাগুলোতে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেছেন, “এই অঞ্চলের ম্যাক্সিমাম ফ্যাক্টরি খোলা। এখানে ৭৭৫টি তৈরি পোশাক কারখানা আছে।
“৫৫টি কারখানা বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণস্থান গুলোতে মোতায়েন রয়েছে।”
এদিকে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টস সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের খবর জানান আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
তারা হলেন- আশুলিয়ার সুবন্ধী এলাকার দেওয়ান আব্দুল হাই (৫২), দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার শুক্কুর আলী (৪০), আশুলিয়ার জাহিদুল ইসলাম (২৪), টাঙ্গাইল জেলার রনি (২৭), একই জেলার রাব্বি মিয়া (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মিজানুর রহমান (৩৮), একই জেলার জাহিদুল (৩৮) ও কুমিল্লা জেলার শাহাপরান (৩৩)।
ওসি আবু বকর বলেন, “গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।”