জাহাজে বাবুর্চির কাজ করতেন আল আমিন৷ তিন বছর আগে ওই চাকরি ছেড়ে দেন৷ দেড় বছর ধরে ‘কবিরাজি’ করছেন তিনি।
Published : 22 Oct 2023, 06:37 PM
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শোবার ঘর থেকে এক ‘কবিরাজের’ গলা কাঁটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এনায়েতনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মগঞ্জের চতলার মাঠ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম৷
নিহত ৪৮ বছর বয়সি আল-আমিন ভান্ডারী পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পুকুরিয়া এলাকার হারুনুর রশীদের ছেলে। কয়েক মাস আগে বিয়ে করা তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম সংসারের ছেলেকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি৷
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহাজে বাবুর্চির কাজ করতেন আল আমিন৷ তিন বছর আগে ওই চাকরি ছেড়ে দেন৷ দেড় বছর ধরে ‘কবিরাজি’ করছেন তিনি।
আল আমিনের ভাই আলিম শেখ বলেন, জাহাজে চাকরির সময় হাফেজ মাস্টার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার ভাইয়ের পরিচয় হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে আল আমিন ও হাফেজ মাস্টার একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন৷ স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা আলাদা ঘরে ছিলেন৷
নিহতের স্ত্রী রোকসানা আক্তারের বরাতে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৮টার দিকে ঘরের দরজা খোলা এবং ভেতরে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্ত্রী৷ তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের অন্যরাও ছুটে আসেন৷ পরে পুলিশে খবর দেন তারা৷”
ঘটনার পর থেকে হাফেজ মাস্টারকে পাওয়া যায়নি।
ওসি নূরে আযম বলেন, “আমাদের সন্দেহের তালিকায় পূর্বপরিচিত ব্যক্তি হাফেজ মাস্টার রয়েছেন৷ তাকে আটকের চেষ্টা চলছে৷ এ ছাড়া হত্যার কারণ জানতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ৷ তবে এখনও হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি৷”
ঘটনাস্থলটি থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিমও পরিদর্শন করেছে৷ সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পিবিআই৷
নিহতের মরদেহ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি৷ মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি৷
[ প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]