ধুনটের শিমুল বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোমর পানি।
Published : 07 Jul 2024, 11:14 AM
যমুনা নদীর পানি বেড়ে বন্যার কারণে বগুড়ার তিন উপজেলার ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।
এর মধ্যে ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে।
বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দী উপজেলায় একটি মাদ্রাসাসহ মোট আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আর সোনাতলা, সারিয়াকান্দী ও ধুনট উপজেলায় মোট ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে জেলা সরকারি প্রাথমিক কর্মকর্তা রেজওয়ানুর হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের প্রতিদিন স্কুলের খোঁজখবর নিতে হবে, নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ ঘোষণা করা ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোথাও হাঁটু এবং কোথাও কোমর পানি উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী পানিবন্দি হয়ে পড়ার কারণে পরিবারের সঙ্গে অন্য জায়গায় গিয়ে থাকছে।
ধুনটের শিমুল বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোমর পানি। গ্রামের ঘরগুলো অর্ধেক পানির নিচে ডুবে আছে। ওই স্কুলের ছাত্র-অভিভাবকদের খোঁজ করা হলে জানা গেলো, তারা আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে; স্বজনদের বাড়িতে।
সারিয়াকান্দী উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের ময়ুরের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেনের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাড়িতে পানি ঢোকায় খুবই কষ্টে আছি। এ অবস্থায় ছেলের পড়ালেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রাকিব হোসেনের বাবা আবুল কাশেম বলেন, “স্কুলে এবং বাড়িতে পানি ওঠায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। গরু-ছাগল নিয়ে এক সঙ্গে থাকি। ছেলের পড়ালেখা কি করে হবে? বলুন।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারিয়াকান্দী, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৮০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।