পুলিশ জানায়, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা পালিয়ে যান।
Published : 08 Sep 2024, 01:04 AM
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী-ভাসুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন।
এর আগে সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহত গৃহবধূ রেহানা আক্তারের (২১) স্বামী কাজিহাটি গ্রামের ওয়ালি আহম্মেদের ছেলে সাহিত্য মুরসালিন (৪০), তার বড় ভাই হারুন অর রশিদ (৪৩) ও হারুনের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের কাজিহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রেহানা আক্তার সাহিত্য মুরসালিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের তোফাজ্জাল হোসেনের মেয়ে রেহানা আক্তার সাহিত্য মুরসালিনের দ্বিতীয় স্ত্রী। আট মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই জসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেহানাকে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বামীর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক রেহানাকে মৃত ঘোষণা করার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রেহানার গলায় ফাঁসির দাগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে একটি হাতে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এসআই জসিম উদ্দিন আরও জানান, এ ঘটনায় রেহানার বাবা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে শনিবার সকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এতে রেহানার স্বামী সাহিত্য মুরসালিন, তার মা রাজিয়া আক্তার, মুরসালিনের ভাই ফারুক আহমেদ, হারুন অর রশিদ ও হারুনের স্ত্রী নাজমাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর নাজমুল হুদা লিটন বলেন, “মুরসালিন ঢাকায় থাকেন এবং সেখানে আইন পেশায় জড়িত। তার প্রথম স্ত্রীও ঢাকায় থাকেন। রেহানা তার (মুরসালিন) দ্বিতীয় স্ত্রী।”
তিনি বলেন, “ঘটনা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানি না। তবে রেহানার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শনিবার সকালে মুরসালিন ঢাকা থেকে এলাকায় এসেছেন।”